
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা : বিএসএফ জওয়ানদের বুদ্ধিমত্তার জেরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার ২৫ টি সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার চোরা পাচারকারী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারী উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বর্ডার আউটপোস্টে বিথারির জওয়ানরা সোনা পাচারের বিষয়ে অগ্রিম খবর পান। এরপরই বিএসএফ জওয়ানরা তৎপর হয়ে ওঠেন এবং যেই জায়গায় পাচার হবে সন্দেহ করা হয়েছিল সেখানে হানা দেন। শুক্রবার বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ যখন একজন সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীকে বিওপি বিথারি ক্যাম্পের কাছে দেখা যায় তখন জওয়ানরা তাকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির পর জানা যায়, মোটরসাইকেলের পেট্রল ট্যাঙ্কের নীচে একটি গর্তে লুকিয়ে রাখা আছে ২৫টি সোনার বিস্কুট। সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফ জওয়ানরা সোনার বিস্কুটগুলি বাজেয়াপ্ত করে এবং চোরাচালানকারীকে আটক করেন।
চোরা পাচারকারীর কাছ থেকে পাওয়া সোনার ওজন ৩.৪২০ কেজি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২,৯৫,৯০,১৮২ টাকা। পুলিশ সুত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকার করে যে সে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পদমভিলা গ্রামের বাসিন্দা এবং গত দুই মাস ধরে একজন বাংলাদেশি চোরাচালানকারী ব্যাক্তির সঙ্গে সে যোগাযোগ করছিল। এবং তাকে বিথারি বাজারের একটি নির্দিষ্ট স্থানে সোনাগুলিকে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যার বিনিময়ে তাকে মাত্র ১৫০০ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি শ্রী.এন.কে.পান্ডে বলেন, “ চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, চোরাকারবারীরা নতুন কৌশল গ্রহণ করলেও বিএসএফ তাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “ সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে বিএসএফ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জওয়ানরা সর্বদা সতর্ক এবং চোরাচালান বা অবৈধ অনুপ্রবেশের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে প্রস্তুত”।