
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শিরিষ গাছের ভাইরাস বিক্রি করে আয়ের পথ দেখছে সুন্দরবনের যুবকরা। শিরিষ গাছের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক পোকা তো নয়, যেন টাকা কামানোর মেশিন। শিরিষ গাছে সংক্রমিত ছত্রাক এখন উপার্জনের মাধ্যম। একদল মানুষ প্রতিদিন কাক ভোরে উঠেই বেরিয়ে পড়ে ভাইরাস পোকার সন্ধানে। তবে শুধুমাত্র শিরিষ গাছেই নয় বাবলা, কুল, অর্জুন গাছে এই ছাত্রাকের দেখা মেলে। যা আঠালো ভাবে রূপান্তরিত হয়ে সাধারণত রঞ্জন নামে পরিচিত।
ছত্রাক আক্রমণে গাছের ডালে টকটকে লাল একটি আবরণ এবং আবরণের উপরী অংশে সাদা দুধের মত তুলা জাতীয় একটি প্রলেপ পড়তে দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা শ্রমিক দিয়ে যত্নসহকারে গাছ থেকে আহরণ করছে পোকা ভর্তি ডাল। এরপর ডাল থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় পোকা ও তার উচ্ছিষ্ট।
তবে এগুলো সংগ্রহ করে কি কাজে ব্যবহার করা হয়! এমন প্রশ্নের জবাবে, ব্যবসায়ীরা জানান, সংগৃহীত ছত্রাক মিনাখাঁর দেউলি এলাকায় তারা বিক্রি করেন। তবে আসলে ঠিক কোথায় যায় আর কী কাজে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে তা তাদের জানা নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি পোকা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০-১২ কেজি ছত্রাক সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। আর এভাবেই জীবন জীবিকা লাভের দিশা দেখছেন সুন্দরবনের মানুষ।