
স্পোর্টস ডেস্ক :৬ জুন যুবভারতীতে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ের কুয়েত ম্যাচের পরে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ভারতের ফুটবল আইকন সুনীল ছেত্রী। আর এরপরেই সুনীলকে সম্মান জানাল ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছে, যেখানে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, লিয়োনেল মেসির সঙ্গে এক ফ্রেমে রয়েছেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। সঙ্গে সুনীলকে ‘লেজেন্ড’ সম্বোধন করেছে ফিফা। সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে অবশ্য একটি তথ্যচিত্রও বানিয়েছিল ফিফা। যার নাম তারা দিয়েছিল ‘ক্যাপ্টেন ফ্যানটাস্টিক- দ্য লেজেন্ড অফ সুনীল ছেত্রী’। যে তথ্যচিত্রে উঠে এসেছিল সুনীলের পরিশ্রম, সাফল্য, ব্যর্থতা, তাঁর দায়বদ্ধতা, ব্যক্তিগত জীবনের নানা কথা। অবসর ঘোষণার দিন ফের সুনীলকে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের আসনে বসিয়ে সম্মানিত করল ফিফা।ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, আলি দাই, লিওনেল মেসির পরে দেশের জার্সিতে সবথেকে বেশি গোল সুনীলের।বাইশ বছর আগে মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব-ফুটবল জীবন শুরু করেন সুনীল। ফুটবল জীবনের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগালের ক্লাব ফুটবলেও খেলতে যান। দেশে ফিরে এসে ইস্টবেঙ্গল, ডেম্পো, মুম্বই সিটি এফসি এবং বর্তমানে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলেন। বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়েই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন তিনি। দু’বার (২০১৪, ২০১৬) আই লিগ, একবার (২০১৯) আইএসএল, একবার (২০১৮) সুপার কাপ। এমনকী, ২০১৬-য় এএফসি কাপের ফাইনালেও খেলেছেন তিনি।
ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে সেরা তারকা হয়ে ওঠার পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলেও আধিপত্য বিস্তার করেছেন তিনি। ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১২-এ ভারতের নেহরু কাপ জয়ে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ২০১১, ২০১৫ ও ২০২১-এ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়েও তিনি ছিলেন যথেষ্ট কার্যকরী। ২০০৮-এ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে ২৭ বছর পর ভারতের প্রথম এএফসি এশিয়ান কাপে অংশ নেওয়ার পিছনেও তাঁর অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল।
২০০৫-এ পাকিস্তানে ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচে প্রথম গোল করার পর থেকে দেড়শো ম্যাচে মোট ৯৪টি গোল।