
ওঙ্কার ডেস্ক: তামিলনাড়ুতে ধর্ষণে অভিযুক্ত চার জনকে এনকাউন্টার করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্বামীকে বেঁধে রেখে এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিরুপাথুরে একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে এক দম্পতিকে তুলে নিয়ে যায় চার দুষ্কৃতী। তাদেরকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মহিলাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা মহিলার গয়নাও লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের খুঁজছিল পুলিশ। এই চার জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।।
অভিযুক্তদের দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে তামিলনাড়ু পুলিশ খবর পায়, পোনমালাই এলাকার কাছে চার অভিযুক্ত আত্মগোপন করে আছে। এরপরই সেখানে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। তারা ঘিরে ফেলে অভিযুক্তদের। এরপর পালানোর উপায় না দেখে অভিযুক্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশের তরফেও পালটা গুলি চালানো হয়। এই মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয় দুজন অভিযুক্ত। একজনের পা ভেঙে যায়। চার জনকে গ্রেফতার করে আহত তিনজনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের এনকাউন্টারের কথা উঠেছে। উঠে এসেছে ২০১৯ সালে হায়দরাবাদের এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ। সেবার এক তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ সামনে আসে। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। কথা উঠেছিল, ৪ অভিযুক্তকে ‘এনকাউন্টারে’ মেরেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। এই ঘটনার বিরুদ্দে সোচ্চার হয়েছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলি।