
প্রদীপ মাইতি, তমলুক: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবারে উঠছে প্রশ্ন। দোষীদের শাস্তির বদলে এখন আপাতত খাটাল সামলানোর দায়িত্ব পালন করতেই মরিয়া তমলুক থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২রা জুলাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকা থেকে ১৯৮টি গোরু উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ। জানা যায়, ৬টি গাড়িতে করে এই গোরুগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। পুলিশের দাবি, এত সংখ্যক গোরু নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেননি গোরুর ব্যাপারিরা। ফলে ১৬জন ব্যাপারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ১৯৮ টি গোরুকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পুলিশের তরফে এরপর উদ্ধার হওয়া গোরুগুলোকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয় আদালতে। আদালত প্রাণী সম্পদ দপ্তরকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত গোরুগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন পুলিশ।
রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় পুলিশের কপালে। তমলুকের মত এমন প্রাচীন শহরে গোরুগুলোকে রাখা হবে কোথায়? অবশেষে ঠিক হয় শহরের বাইরে কোথাও রাখা হবে। সেইমত তমলুক পুরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বুদ্ধপার্ক এলাকায় খেলার মাঠের একপাশে ত্রিপল বাঁশ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে অস্থায়ী খাটাল। পুলিশি হেফাজতে থাকা গোরুগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে দিনভর ডিউটি করছেন দুই কনস্টেবল ও তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। গোরুগুলিকে দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে তিন অস্থায়ী কর্মীকেও। তারাই দিনরাত সেবা করে চলেছেন গোরুদের। তমলুক পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক, বিদ্যুতেরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে গোরুগুলির জন্য। দ্রুত যাতে গোরু গুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য জেলা পুলিশের তরফে ফের প্রাণীসম্পদ দপ্তরের সাথে ফের যোগাযোগ করা হয়েছে বলেই জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিখিল আগরওয়াল ।
দ্রুত গোরুগুলিকে স্থানান্তরিত করা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাণীসম্পদ আধিকারিক।