
বাবুলাল প্রামানিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদরের ‘সোহান’ আর নেই। দীর্ঘ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়েছে। মর্মাহত বনকর্মীরা, মন খারাপ পর্যটকদেরও।
২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী যখন ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন, তখনই দুটি বাঘের নাম রাখেন ‘সোহান’ ও ‘সোহানি’। সুন্দরবনের লোকালয়ে ঘুরে বেড়ানো এই বাঘদুটিকে সংরক্ষণের জন্য আনা হয়েছিল। সোহানি কিছুদিন আগেই মারা গিয়েছিল, এবার সোহানও না ফেরার দেশে পাড়ি জমাল। ২০০৯ সালে সাতজেলিয়া গ্রামের আশেপাশে বারবার ঢুকে পড়তো সোহান। পরে বন দপ্তর তাকে ধরে এনে প্রথমে আলিপুর চিড়িয়াখানায় রাখে। তারপর ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সোহান পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ছিল। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল সে। বাঁ চোখে ছানি পড়েছিল, ফলে দেখতে পেত না। চিকিৎসকদের নিয়মিত তত্ত্বাবধানেও শেষ রক্ষা হল না।সোহানের মৃত্যুতে শুধু ঝড়খালির কর্মীরাই নয়, বহু পর্যটকও মর্মাহত। তার একাকিত্ব কাটাতে নতুন একটি বাঘ আনা হলেও, তাতে সোহানের মন ভরেনি। রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার অধিকর্তা নীলাঞ্জন মল্লিক বলেন, “সোহানের বয়স হয়েছিল প্রায় ২২ বছর, যা একটি বাঘের গড় আয়ুর কাছাকাছি।স্বাভাবিক কারণেই সে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মারা গেছে।”
বাঘের আশ্রয়স্থল বলতে রাজ্যে এখন শুধুমাত্র ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্র। নতুন বাঘ আনার পরিকল্পনা করা হতে পারে, তবে সোহান ও সোহানির জায়গা কেউই পূরণ করতে পারবে না।