
ওঙ্কার ডেস্ক: নন্দীগ্রামে নিজের দোকান থেকেই উদ্ধার হল তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ, যার ফলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম মহাদেব বিষয়ী, নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৃন্দাবনচক গ্রামের বাসিন্দা তিনি।স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে নিজের দোকানের ভেতর থেকে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সাতেঙ্গাবাড়ি বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই মহাদেবের একটি ছোট্ট অস্থায়ী চা দোকান ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সেই দোকানঘরের ভেতর থেকেই তাঁর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, মহাদেবকে পিটিয়ে খুন করে দোকানের ভেতর ফেলে রাখা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ও দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৃন্দাবনচক গ্রামে তৃণমূলের সক্রীয় তৃনমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল মহাদেব। গত ১৫ দিন আগেও তাঁর ওপরে হামলা হয়, বিজেপি করার জন্য চাপ দিয়ে তাঁকে হুমকি ও মারধর করা হয়। এর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয় বলে জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা, তাদের দাবি বুধবার এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। তারপরেই গভীর রাতে ওই তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করে তাঁর দোকানের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়েছে।নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ আরো দাবি করেন, “গত কয়েক বছরে নন্দীগ্রামে রক্ত নিয়ে খেলা করছে বিজেপি। একের পর এক তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। একাধিক কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার চায় তৃণমূল”। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বা শুভেন্দু অধিকারী নিজেও।