
ওঙ্কার ডেস্ক:বাংলার উপনির্বাচনে সবুজ সুনামি রাজ্য জুড়ে।ছয়টি কেন্দ্রেই জয় পেলো তৃনমূল কংগ্রেস।আর জি কর কাণ্ডের পর এই জয় কে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।আর জি কর কাণ্ডের পর স্পষ্টতই চাপে ছিল শাসক দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দুশ্চিন্তা প্রকাশ করতেও কসুর করেননি, আরজি কর আবহে ৬ আসনের উপনির্বাচনের দিকে নজর ছিল সবার। কেউ কেউ বলেছিলেন , এই ছয় আসনের ভোট আদতে ২৬-এর ভোটের ‘ট্রেলার’। কিন্তু ২৩ নভেম্বর গণনা শুরুর কয়েকঘণ্টা পর থেকে মানুষের রায় স্পষ্ট হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নৈহাটির তৃনমূল প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ৬ আসনের বিধানসভা উপনির্বাচনে নজর ছিল নৈহাটির দিকে। এখানে জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থী সনৎ দে।
মাদারিহাটে জিতলেন জয়প্রকাশ টোপ্পো, সিতাইয়েও জিতে গেলেন সঙ্গীতা রায় । আলিপুর দুয়ারের মাদারিহাট গেরুয়া শিবিরের শক্ত মাটি বলে পরিচিত হলেও , এই উপনির্বাচন সেই ধারণাও ভেঙে দিলো। মাদারিহাটে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জয়প্রকাশ জিতেছেন ৩০, ৩০৯ ভোটে।
অপরদিকে হাড়োয়াতে জয়ী হাজি নুরুলের পুত্র শেখ রবিকূল ইসলাম। মেদিনীপুরে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা। লক্ষাধিক ভোট পেয়ছেন তিনি, প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। তালড্যাংরাতেও জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফাল্গুনী সিং বাবু । জয়ের পর তৃনমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন ,এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উন্নয়নের জয়।মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন।অপরদিকে তৃনমূলের এই জয় কে গুরুত্ব দিতে চাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তিনি বলেন এই রাজ্যে ভোটের পরিবেশ নেই।তবে ২০২৬ এ বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।
তৃনমূলের এই বিপুল মার্জিনে জয়ের পর, মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খোদ দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং
এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।