
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ বিরোধীদের সম্মিলিত প্রতিবাদ এবং সংসদে লাগাতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে পিছু হটল সরকার। ৮ অগাস্ট লোকসভায় বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হবে মোদি সরকারকে। আর ১০ অগাস্ট সংসদে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি।
প্রসঙ্গত মণিপুর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে ভাষণ দিতে হবে বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। এদিনও অধিবেশনের শুরুতে ইন্ডিয়া জোটের সংসদরা মণিপুর ইস্যুতে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাধ্য হয়েই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর ২ টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। লোকসভার অধিবেশনও দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় । এরপরই সংসদের বাইরে মোদির বিবৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। বিক্ষোভে স্লোগান দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। সংসদ ভবন চত্বরেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে জবাব তোমায় দিতেই হবে, নয়তো গদি ছাড়তে হবে। এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ন মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জি, আপনাকে মনমোহন সিংকে অনুসরণ করতে হবে না। আপনি আপনার দলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে অনুসরণ করুন। সংসদে এসে মনিপুর নিয়ে বিবৃতি দিন।
৮ অগাস্ট লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হবে মোদি সরকারকে। আর ১০ অগাস্ট সংসদে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকার পড়ার কোনও সম্ভাবনা যে নেই তা বিরোধীরাও বিলক্ষণ জানেন। কিন্তু মণিপুর ইস্যুতে কেবলই সংসদকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন মোদি। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটির পর সংসদে তাকে বক্তব্য রাখতে উপস্থিত হতেই হবে। শুনতে হবে বিরোধীদের চোখা চোখা প্রশ্নবান এবং তির্যক মন্তব্যও।