
ওঙ্কার ডেস্ক : দলের যথাযোগ্য উত্তরসূরি সংকটের চিত্রটিই এবার উঠে এলো সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলনে। শুক্রবার শেষ হয়েছে সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন। দলের রাজ্য সম্পাদকের পদে পুনরায় রইলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।
বিধি অনুযায়ী ৭৫ বছরের ঊর্ধে কেউ দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকতে পারবে না। কিন্তু সম্প্রতি এই বয়স সীমা পেরিয়ে গেলেও রাজ্য কমিটিতে রেখে দেওয়া হল দলের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকারকে। এখানেই পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে দলের সংকট ছায়া ফেলছে। কারণ মানিক সরকারকে রাজ্য কমিটিতে রেখে দেওয়ার পিছনে তাঁকে পলিটব্যুরোতে রেখে দেওয়ার উদ্দেশ্য কাজ করছে বলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সামনেই সিপিএমের কেন্দ্রী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বয়সের নিরিখে এ বার যাঁদের বাদ পড়ার কথা তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেরলের বিজয়ন এবং ত্রিপুরার মানিক সরিকার ছাড়াও প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, সুহাসিনী আলি, সূর্যকান্ত মিশ্র ও জি রামকৃষ্ণন। দলের উদ্বেগের কারণ এখানেই। প্রবীন নেতাদের বাদ দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না সিপিএম। তাই হয়তো বয়স পেরিয়ে গেলেও বিধি ভেঙে মানিক সরকারকে বেঁধে রাখা হল যাতে দলের এই এক ঝাঁক প্রবীন নেতাকে রেখে দেওয়া নিয়ে পরে কথা না ওঠে।