
ওঙ্কার ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বাড়তি শুল্ক চাপানো হবে বলে জানানো হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে। কানাডা এবং মেক্সিকোর পরে চিনের পণ্যে বাড়তি শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করে দিল হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার রাতে ট্রাম্প জানান, সমস্ত চিনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চোরাচালান এবং অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার উদ্দেশে এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি মার্কিন প্রশাসনের। উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে বাড়তি শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্যও ব্যাখ্যা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাঁর এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, বিপুলসংখ্যক নথিপত্রহীন অভিবাসী আসার বিষয়টি সামাল দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল (মাদক) আসা বন্ধ করা। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি কমানো। সেই সময়েই চিনের পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। বেজিংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘চিনে তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে।’