
শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়ঃ মনু সংহিতা নিয়ে পিছু হটল মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান এখনই বিতর্কিত মনু সংহিতা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে না কেন্দ্র। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে আইন বিভাগের পাঠক্রমে মনু সংহিতার একাংশ অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়ে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব নেয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবটি পাঠানো হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। বিষয়টির বিরোধিতা করে দিল্লি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিংকে চিঠি দেয় বাম সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন সোস্যাল ডেমোক্রেটিক টিচার্স ফ্রন্ট। চিঠিতে বাম সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন জানায় মনু সংহিতা সমাজে নারী অধিকারের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করে এবং দলিত এবং প্রান্তিক আদিবাসীদের ক্ষেত্রেও দমন মূলক মনোভাবের পরিচয় প্রকাশ করে। মনু সংহিতা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবধারার পরিপন্থি এবং তা ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের পক্ষে। এমন বিষয় কখনই আইননের ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক পাঠক্রমের অঙ্গ হতে পারে না। প্রতিবাদ জানান অনেক শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দেশ জোড়া প্রতিবাদের মুখে পড়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং গতকালই জানিয়ে দেন মনু সংহিতা আইনের পাঠ্যক্রমে জায়গা পাচ্ছে না। শুক্রবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন এখনই বিতর্কিত মনু সংহিতা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে না কেন্দ্র, কারণ মনু সংহিতা দেশের সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী। তাই আপাতত বিতর্কিত মনু সংহিতা বাদই পড়ল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পাঠক্রম থেকে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মায়াবতী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মুচকি হেসে বলছেন সবটাই সংখ্যাতত্বের খেলা। এবারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। জোট শরিকদের নিয়ে সরকার চালাতে হচ্ছে মোদিকে। তাই বিতর্ক বাড়াতে চান না খোদ প্রধানমন্ত্রীই। আপাতত তাই হিমঘরে মনু সংহিতার পাঠক্রমে অন্তর্ভুর্তির প্রস্তাব।