
বিপ্লব দাশ : ট্রাম্প-ইলনের মধুচন্দ্রিমা ঘুঁচেছে, তাও বেশিদিন নয়। কিন্তু এই অল্প দিনে এমন সাপে নেউলে সম্পর্ক পাড়ার ঠেকেও দেখা যায় না। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলা ঘিরেও নয়। কিন্তু কি এমন হল যে একে অপরের বিরুদ্ধে এমন খুল্লামখুল্লা বাকযুদ্ধ শুরু হল ! একসময়ের দুই হরিহর আত্মার এই একে অপরের প্রধান শত্রু হয়ে ওঠাই কি এখন বিশ্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ?
রাজনীতি আর বাণিজ্য যে এক নয় তা নিশ্চয়ই ঠারেঠোরে টের পাচ্ছেন মার্কিনিরা। এমনিতেই মার্কিন রাজনীতিতে বিত্তবান ব্যক্তির ভিড় চিরকালীন। যে যত বড় বিলেনিয়ার তার কাছে মার্কিন সিংহাসন একটা নিশিডাক হয়ে ওঠে। কিন্তু ট্রাম্পের মতো এমন দশা আর কোনো প্রেসিডেন্টের হয়েছে বলে মনে হয় না। এমনিতেই ট্রাম্পের একটা বড় উপসর্গ হল অন্যকে তুচ্ছতাতুচ্ছ ভাবা। সেই ব্যধি তাঁর একদা প্রাণের বন্ধু ইলন মাস্ককেও ছাড়েনি। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, মাস্ককে ছাড়াই তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারতেন। ট্রাম্পের এই দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই পালটা বোমা ছোঁড়েন ইলন। সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি সাহায্য না করলে ট্রাম্প হেরে যেতেন’! এখানেই থেমে থাকছে না দুজনের বাক যুদ্ধ। একে অপরের দিকে একের পর এক চলছে কার্যত মিশাইল হামলা। তা গিয়ে পৌঁচেছে যৌন কেলেঙ্কারিতেও। আর এসব নিয়েই রীতিমতো বাজার গরম হচ্ছে মার্কিন মুলুকে।
এই পরিস্থিতিতে পিটার থিয়েল খুবই প্রাসঙ্গিক চরিত্র। তিনি হলেন মাস্কের বন্ধু এবং ভ্যান্সের পরামর্শদাতা। ২০০৯ সালে ক্যাটো ইনস্টিটিউটের জন্য একটি দুর্দান্ত স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন থিয়েল। যেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “আমাদের সময়ে স্বাধীনতাকামীদের জন্য মহান কাজ হল রাজনীতির সকল বৃত্ত থেকে মুক্তি খুঁজে বের করা”। এই মুক্তির জন্য তিনটি প্রযুক্তিগত সীমানা চিহ্নিত করেছিলেন – সাইবারস্পেস, মহাকাশ এবং সমুদ্র সৈকত। থিয়েল যুক্তি দিয়েছিলেন, “রাজনীতির সঙ্গে মারাত্মক প্রতিযোগিতা”র মতো প্রযুক্তি ভবিষ্যতের আরও সহজতর হবে বলে বিশ্বাস করা একটি ভ্রান্ত ধারণা।
আমরা এই প্রতিযোগিতাটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চলতে দেখছি।