
ওয়েব ডেস্ক: সারা বিশ্বজুড়ে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ছে। সৌজন্যে বেসরকারি সংস্থাগুলো। সেই তালিকায় সামনের সারিতে স্ট্যাচু অব লিবার্টির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রের খবর, ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাঙ্কগুলো ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি মার্কিন সংস্থা কর্মীদের সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা ধরে কাজ করানোর উদ্যোগ নিয়েছে। উল্লেখ্য, আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে একসময়ে শ্রমজীবী মানুষ মার্কিন মুলুকের মাটিতে অধিকার ছিনিয়ে এনেছিলেন আন্দোলনের মাধ্যমে। সেই দেশই এখন অন্য উল্টো পথের পথিক।
সূত্রের খবর, নতুন নিয়ম চালু হলে কাজের সময় অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মার্কিন মুলুকের নামীদামী বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের লাগাতার কাজ করতে হবে। সপ্তাহে ৬দিন সকাল থেকে থেকে রাত পর্যন্ত কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। উল্লেখ্য, মে দিবসের অধিকার ছিনিয়ে আনার পরে দশকের পর দশক ধরে মার্কিন মুলুকে কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে কাজের সময় সুনির্দিষ্ট ছিল ৩৪ ঘণ্টা। কিছু ক্ষেত্র ছাড়া এই নিয়ম চালু ছিল মার্কিন মুলুকের প্রায় সমস্ত সংস্থাতে।
এই নিয়ম চালুর উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন মুলুকে এখন জোর চর্চা চলছে। এপর্যন্ত সেদেশের শ্রমিক সংগঠনগুলো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এদিকে চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন উগ্র দক্ষিণপন্থী নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একইভাবে ভারতেও আটঘণ্টার পরিবর্তে কাজের সময় ১২ ঘণ্টা চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। সেইসঙ্গে কর্মী ছাঁটাইয়ের জেরে কাজের প্রবলভাবে চাপ বাড়ছে বেসরকারি সংস্থাগুলোতে। ইতিমধ্যে দেশের নামী দুটি বেসরকারি সংস্থার দুই মহিলা কর্মী অতিরিক্ত চাপে কর্মস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অফিসে কাজের চাপে অসুস্থতার জেরে ওই দুই মহিলার মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও তা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে।
এদিকে লার্সেন অ্যান্ড টুবরোর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রমনিয়াম দাবি করেছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সপ্তাহে কাজের সময় ৯০ ঘণ্টা করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুক ও ভারত দুদেশেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কর্মীরা বিশ্রাম নেবেন কখন? পরিবার কিংবা সংসারে সময় দেবেন কীভাবে?