
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ রোমহর্ষক গোয়েন্দা কাহিনী বা সিনেমাকেও যেন হার মানাবে উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে এক ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনা। বছর তিরিশেক ব্যবসায়ী অঙ্কিত চৌহানকে কোবরার ছোবল খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই বান্ধবী মাহি ওরফে ডলি আর্যর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী অঙ্কিত চৌহানকে খুনের অভিযোগে এক সাপুড়েকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। ধৃতের নাম রমেশনাথ। এই খুনের ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত বান্ধবী মাহি ওরফে ডলি আর্য এবং তার বন্ধু দীপ কান্দপাল এবং ২ পরিচারক সহ মোট ৪ জন এখনও পলাতক। নৈনিতালের পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভাট জানান ১৫ জুলাই তিনপানি এলাকায় রাস্তার ধারে গাড়ির মধ্যে থেকে বছর তিরিশের ব্যবসায়ী অঙ্কিত চৌহানকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়ির ইন্ডিকেটর তখনও জ্বলছিল। গাড়ির কাঁচ তোলা ছিল। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল এটি একটি দুর্ঘটনা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে চালাতে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক, গাড়ির কাঁচ তোলা থাকায় দমবন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তদন্তের গতিপথ ঘুরে যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতে। দেখা যায় অঙ্কিতের মৃত্যু হয়েছে কোবরার কামড়ে। এরপরই অঙ্কিতের ফোন লিস্ট দেখে বান্ধবী মাহি ওরফে ডলির উপর সন্দেহ গাঢ় হয় পুলিশের। তার ফোনের উপর নজরদারি শুরু করে পুলিশ। সেখান থেকেই উঠে আসে এক সাপুড়ের নাম। গতকাল রাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে সাপুড়ে রমেশনাথ গ্রেফতার করে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই স্পষ্ট হয় চক্রান্তের জাল। জেরায় ভেঙে পড়ে রমেশনাথ পুলিশকে জানায় ব্যবসায়ী অঙ্কিতকে খুন করে দুর্ঘটনা বলে চালাতে ছক কষেছিল অভিযুক্তরা। ষড়যন্ত্রের মূল পাণ্ডা অঙ্কিতের বান্ধবী মাহি। আপাতত মাহি এবং তাঁর আরেক পুরুষ বন্ধু সহ মোট ৪ জন অভিযুক্ত পলাতক। তাঁদের ফোন বন্ধ বলে জানিয়েছেন নৈনিতালের পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভাট । তবে অভিযুক্তরা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে জানান তিনি।