
ওঙ্কার ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়া অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই হুঁশিয়ারির একদিন যেতে না যেতে চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে সেই সঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, তিনি জানিয়েছেন যুদ্ধের মূল কারণগুলির সমাধান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন ভ্লাদিমির পুতিন। সেই বৈঠকের পর ক্রেমলিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুতিন বলেন, ‘আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। কিন্তু আমরা এই সত্য থেকে এগিয়ে যাব যে এই যুদ্ধবিরতি এমন হওয়া উচিত হবে, যাতে এটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে যাওয়া যায় এবং এই সংকটের মূল কারণগুলো দূর হয়।’
উল্লেখ্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। গত তিন বছর ধরে চলছে সেই যুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রুশ সেনা। দ্বিতীয় বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর জানান তিনি রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামাবেন। সেই মতো হোয়াইট হাউসের তরফে প্রক্রিয়া শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘ধারণাটি সঠিক এবং আমরা অবশ্যই এটিকে সমর্থন করি। কিন্তু এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা আমাদের আলোচনা করা দরকার। আমি মনে করি, আমাদের মার্কিন সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা উচিত।’
পাশাপাশি ট্রাম্পকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সংঘাতের অবসানের ধারণাকে সমর্থন করি।’
প্রসঙ্গত ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আগেই রাজি হয়েছে ইউক্রেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান তাঁরা যুদ্ধবিরতিতে রাজি। এই আবহে চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি নির্ভর করছিল মস্কোর সিদ্ধান্তের উপর। পুতিন এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।