
সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়া দিল্লিঃ ভূমিধস নিয়ে কেরলের বাম সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেরল সরকার সময় থাকতে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর বন্দোবস্ত করেনি। তা করা হলে প্রাণহানি অনেক কম হত। রাজ্যসভায় এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিপর্যয়ের সময়ও রাজনীতি করছেন অমিত শাহ।
কেরলে অত্যধিক বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তার প্রভাবে যে ধস নামতে পারে। অন্তত এক সপ্তাহ আগে সতর্ক করা হয়েছিল কেরলের বাম সরকারকে। বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, গত ২৩ জুলাই কেন্দ্র কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারকে এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘‘কেরলে আগেভাগেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ন’টি দলকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেরল সরকার সময় থাকতে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর বন্দোবস্ত করেনি। তা করা হলে প্রাণহানি অনেক কম হত।
উল্লেখ্য, কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের কারণে কমপক্ষে ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সহ উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। পরিস্থিতির তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারকে গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক ভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিপর্যয়ের সময়ও রাজনীতি করছেন অমিত শাহ, কারণ কেরলে বিজেপির নয় বামেদের সরকার শাসন করছে।