
সুমন্ত দশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ পশ্চিমবঙ্গে পুর নিয়োগের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সেশের সর্বচ্চ আদালতে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার আদালত থেকে সেই মামলাটি তুলে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে পুরসভা নিয়োগে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে মামলাটির বেঞ্চ বদল হয়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা’র একক বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখে। সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। এদিকে মামলা চলাকালীন তারা সুপ্রিম কোর্টেও স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে রাজ্য সরকার।
হাই কোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে পুর নিয়োগ মামলা শুনানি চলছে। কিন্তু রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের আগেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে শুনে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী অসন্তুষ্ট হন। ভরা এজলাসে রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।
রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলাটি তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এদিকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। সেই নির্দেশকে চ্যলেঞ্জ করে দ্বিতীয় বার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে রাজ্য সরকার। সোমবার সেটিও আবার প্রত্যাহার করা হল।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ নিয়োগ মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ইডি। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট হাতে আসে ইডির। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় অয়ন জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।