
নিজস্ব সংবাদদাতা : নিরাপত্তা এমন কঠোর হতে পারে, তা যেন রীতিমতো হতবাক করল রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের। শুক্রবার সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা চত্বরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি প্রবেশপথে কড়া তল্লাশি, গাড়ি থামিয়ে বনেট ও ডিকি খুলে চেকিং, ব্যাগপত্র পর্যন্ত খুঁটিয়ে দেখা – কিছুই বাদ যাচ্ছে না। শাসক থেকে বিরোধী,োনো পক্ষের বিধায়কই বাদ যাচ্ছেন না। এমন কি মন্ত্রীদের গাড়ি তল্লাশির আওতায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, কোনও হামলার হুমকি পাবার পর সাধারণত যেমন তল্লাশি চলে, অনেকটা সেই ধাঁচেই চলছে পুরো অভিযান। বিধায়ক সৌমিক হোসেনও স্বীকার করেছেন, এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখেননি। যদিও কেন এই হঠাৎ কড়াকড়ি, তা স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চলছে এই নিরাপত্তা অভিযান।
এমনই এক নজির কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল নবান্নে। সেখানেও প্রতিটি গাড়িতে চেকিং এবং আইডি যাচাই করে প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছিল। তখনও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, চাকরিহারা শিক্ষকরা বিক্ষোভ দেখাতে যেন ভেতরে ঢুকে না পড়েন, সে কারণেই নেওয়া হয়েছিল এই ব্যবস্থা।
বর্তমানে আমরণ অনশনে বসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার বিকেলে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। স্পিকারও সময় দিয়েছিলেন। ফলে অনেকের অনুমান, তাঁদের ওই বৈঠকের আগেই নেওয়া হয়েছে এই বাড়তি সতর্কতা। তবে এই তল্লাশির ধরন নিয়ে বিজেপি বিধায়করা রসিকতা করতেও ছাড়ছেন না। কেউ কেউ বলছেন, “আমরা যেন তুলসী গাছ নিয়ে ঢুকে না পড়ি, সেইজন্যই বুঝি এত বন্দোবস্ত !” যদিও স্পিকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য আসেনি।