
গোপাল শীল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ একটি ক্লাস রুমের একদিকে বসে রয়েছে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা। অপরদিকে রয়েছে ক্লাস টেনের বেশ কিছু পড়ুয়া । মাঝ খানে বসে রয়েছেন শিক্ষক ।তিনি অংক থেকে বাংলা সবই পড়াচ্ছেন, দুটি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের ,ওই স্কুলে আর কোন শিক্ষক নেই।এমনই অভিনব দৃশ্য দেখা যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের কুমড়োপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী স্কুলে। এই স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৮০, কিন্তু তাদের পঠনপাঠনের গুরুদায়িত্ব কেবলমাত্র ১ জন শিক্ষকের কাঁধে।
একইসঙ্গে দুটি শ্রেণীর পড়ানোর দায়িত্ব একটি শিক্ষকের কাঁধেই । পড়াতে গিয়ে হিমশিম শিক্ষক নিজেই। বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন গোটা গ্রামবাসীরা। তারা জানান, “ গ্রামের দান করা জমির অপরেই তৈরি হয়েছে স্কুলটি। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ না করা হলে গ্রামবাসীরা আনন্দলনেও নামতে দ্বিধাবোধ করবেন না। পঠনপাঠনের পদ্ধতি নিয়ে হতাশ ছাত্রছাত্রীরাও। শিক্ষার্থীদের কথায়- “ স্যার এক সাথে দুটো শ্রেণীর ক্লাস করায় সেই কারণে আমরা ভালো করে পড়াশোনা করতে পারিনা”।
স্কুলের একমাত্র শিক্ষক সৌরেন্দ্রনাথ হালদার জানান, “ সমস্থ শিক্ষক অবসর গ্রহণ করার পর আর কোনও নতুন শিক্ষকের নিয়োগ হয়নি। গোটা স্কুলে এখন শুধুমাত্র তিনি একাই শিক্ষাকথা করছেন”। মূলত সংখ্যালঘু এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এই স্কুল।প্রথম থেকেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় ছিল ২ শতর উপরে । কিন্তু শিক্ষক মাত্র একজন । একসময় এই স্কুলের পড়াশোনার মান ছিল খুবই উন্নত , বহু ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুল থেকেই নানান উচ্চপদস্থ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই স্কুলের একি হাল! এখন এলাককাবাসীর প্রশ্ন একটাই শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে না তো স্কুলটি।