
গোপাল শীল, কুলতলিঃ দু’দিন লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার কুলতলি গুলি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দার। ঝুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি আলাঘর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাদ্দামকে আশ্রয় দেবার জন্য কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি আলাঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় কুলতলি গুলি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দারকে। পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার সাদ্দামকে আদালতে হাজির করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, কুলতলির জালাবেরিয়া-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন চলছিল নকল সোনার কারবার। শুধু নকল সোনা নয়, সোনার মূর্তি চুরি করে এনে এখান থেকে বিক্রিও করা হতো। কখনও কখনও মানুষকে ফাঁদে ফেলে মূর্তি বিক্রির নামে সর্বস্বান্ত করা হতো ক্রেতাদের। সাদ্দমের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সোনা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত সোমবার সাদ্দামের বাড়িতে অভিযানে যায় কুলতলি থানার পুলিশ।
সাদ্দামকে ধরতে গেলে, তাঁর বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই সুযোগে পালিয়ে যায় সাদ্দাম এবং তাঁর ভাই সাইরুল। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সাদ্দামের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ পায় পুলিশ। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়ে যায় বলে পুলিশের অনুমান। সুড়ঙ্গটির মুখ পার্শ্ববর্তী একটি খালে। উল্লেখ্য, সাদ্দামের বিরুদ্ধে, খুনের ও অভিযোগ রয়েছে।