
সঞ্জয় রায় চৌধুরী,কলকাতাঃ মাঝরাতে আচমকাই আরজি কর হাসপাতালের চত্বরে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। এমার্জেন্সির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একাধিক গাড়িও। পরিস্থিতির জন্য মিডিয়ার একাংশকেও দায়ী করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
রণক্ষেত্র আরজি করের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বিনীতকে দেখতে পেয়েই ফের একদল মানুষ পুলিশের ব্য়ারিকেড উল্টে এগিয়ে এসে বিক্ষোভের চেষ্টা শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা ধাওয়া করে তাঁদের। ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয় জনতাকে। পুলিশের তরফে মাইকিং করেও জনতাকে ফিরে যেতে বলা হয়। বিনীত গোয়েল বলেন, “হামলাকারীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে।”
পরিস্থিতির জন্য মিডিয়ার একাংশকেও দায়ী করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, “পুলিশ প্রথম থেকেই আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছে। তা সত্ত্বেও মিডিয়ার একাংশ যেভাবে অতি সক্রিয় হয়ে ভুল প্রচার করে, তাতেই এদিনের পরিস্থিতি।” আরজি কর নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সিপি বলেন, পুলিশ সব কিছু নজর রাখছে। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, “সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমের একাংশের ভুল এবং ক্ষতিকারকে প্রচারের কারণে কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি ঘটছে।”
প্রসঙ্গত, মধ্যরাতে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালে সামনে প্রতিবাদীদের যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল এদিন মধ্যরাতে তাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এমার্জেন্সির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একাধিক গাড়িও। এরপরই শুরু হয় মারধর, ভাঙচুর। জখম হন বেশ কয়েকজন। সেই সময় পুলিশ হাসপাতালের ভেতরে লুকিয়ে ছিল বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ শুরুতেই পদক্ষেপ নিলে এঘটনা ঘটতো না।