
সঞ্জয় রায় চৌধুরী,কলকাতাঃ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ১৪ অগাস্ট রাত দখলের কর্মসূচিতে বাংলা জুড়ে রাজপথে নেমেছিল মেয়েরা। অন্যদিকে সেই মুহূর্তেই কার্যত তাণ্ডবলীলা চলল আরজি করে।
ভিও – আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ১৪ অগাস্ট রাত দখলের কর্মসূচিতে বাংলা জুড়ে রাজপথে নেমেছিল মেয়েরা। বাংলার আকাশে বাতাসে দখল নিয়েছিল স্লোগানে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ১টা ২৭ মিনিট। মাঝরাতে আচমকাই আরজি কর হাসপাতালের চত্বরে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। ভেঙে উপড়ে ফেলা হয় জরুরি বিভাগের কোলাপসেবল গেট। জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে এইচসিসিইউ, সিসিইউ, ওষুধের স্টোররুম লন্ডভন্ড করে দেন হামলাকারীরা। মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হয় ওষুধপত্র। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের আসবাবপত্র। হামলাকারীদের লোহার হাতে রড ও লাঠি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের বেধড়ক মারধর করে বহিরাগত দুস্কৃতিরা বলে খবর। হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের দিকেও তেড়ে যায় এই হামলাকারীরা। তাদের মারমুখী মেজাজের সামনে ভয়ে কার্যত আত্মসমর্পণ করে নেয় কলকাতা পুলিশ। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে আরজি করের দখল সম্পূর্ণ বহিরাগতদের হাতে চলে যায়। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরেও। হাসপাতাল চত্বরে রাখা পুলিশের গাড়ি সহ একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়। আক্রমণ চালানো হয় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও।
হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে র্যা ফ নামানো হয়। ঘটনাস্থলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিশ। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকাছাড়া করে পুলিশ। হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, হামলাকারীরা সকলেই কুখ্যাত সমাজবিরোধী এবং শাসক তৃণমূল আশ্রিত। তারাই তাণ্ডব চালিয়েছে হাসপাতালে বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসক থেকে পড়ুয়াদের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তার দাবি, “সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমের একাংশের ভুল এবং ক্ষতিকারকে প্রচারের কারণে কলকাতা পুলিশের সম্মানহানি ঘটছে, এই ঘটনা ঘটেছে।”