
তামসী রায় প্রধান, কলকাতাঃ সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা। বৈঠক হবে বিকাশ ভবনে। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা দফতরের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যদিও প্রার্থীদের প্যানেলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কটাক্ষ বিরোধীদের।
শনিবার ছিল চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার হাজারতম দিন। ধর্না মঞ্চে চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। ওই মঞ্চে গিয়েছিলেন কুণাল। প্রথম দিকে কিছুটা বাধার মুখে পড়লেও পরে, কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। সেখানেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠকের চেষ্টা তিনি করবেন বলে কথা দেন।
অন্য দিকে রবিবার প্রার্থীদের প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী প্যানেল থাকে এক বছর। এক বছরের প্যানেলের লাইফ এক্সপায়ার করে গেলে কোর্টেরও ক্ষমতা নেই প্যানেলটাকে এক্সটেন্ড করার। যে সমস্ত বিরোধী দল ধুয়ো দিচ্ছে, ধুনো দিক। কিন্তু কোন আইনে আছে প্যানেল এক্সপায়ার করার পর তারা চাকরি পায়? যত বড় পণ্ডিতরা ওদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন, এটা আমাকে একটু দেখিয়ে দিন। দেখিয়ে দিন এই আইন আছে করা যায়।”
প্রসঙ্গত, ১ হাজার দিন ধর্না দিয়ে সোমবারের বৈঠক নিয়ে যখন চাকরিপ্রার্থীরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। তখন আইনি জটিলতার প্রসঙ্গ তুলেছেন শাসক দলের হবি ওয়েট নে্তা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, সত্যিই যদি এমনটা হয়, তাহলে সোমের বৈঠক কি নিয়মরক্ষার, লোকদেখানো?