
নিজস্ব সংবাদদাতা, ওঙ্কার বাংলা : একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে রাজ্য জুড়ে অভিযোগ ওঠায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই ব্যাখ্যা দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এপিক নম্বর এক হলেও ভোটকেন্দ্র এবং বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা হয়। জানান হয়েছে, এপিক কার্ডে যে কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে শুধুমাত্র সেখানেই ভোট দেওয়া যাবে। অন্য কোথাও না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একই এপিক নম্বরে অন্য রাজ্যের ভোটার রয়েছেন, সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে শোরগোল ওঠে রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে এ বার একই এপিক নম্বরে একাধিক নাম থাকার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিল নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভোটার কার্ডের নম্বর কেন আধার কার্ডের নম্বরের মতো স্বতন্ত্র হল না। এক ব্যক্তি এক আধার নম্বর। ভোটার কার্ডের ক্ষেত্রেও তেমন হলে এই বিভ্রান্তি হত না বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে এর মধ্যে একটা রহস্যের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানেই দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও প্রায় এক বছর বাকি বিধানসভা ভোটের। তবু ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে এখনই যেন নির্বাচনের উত্তাপ রাজ্য জুড়ে। এই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তর্জা। রাতারাতি তৃণমূলের নেতা কর্মীরা নেমে পড়েন ময়দানে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু হয়ে যায় ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার কাজ। নানান জায়গা থেকে ভোটার তালিকায় গরমিলেরও নজির মেলে।