
সুরজিৎ দাস, নদীয়া: সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরেও ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ স্যালাইন । এই অভিযোগে উত্তাল কল্যাণীর একটি গ্রামীণ হাসপাতাল। উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি প্রসূতির মৃত্যুর পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। অভিযোগ একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির স্যালাইন দেওয়ার পর ওই বধূর মৃত্যু হয়। এরপরেই ওই কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য। এর পরেও ওই ‘নিষিদ্ধ’ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠল নদিয়ার এক গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
নদীয়ার পলাশিপাড়া প্রীতিময়ী গ্রামীণ হাসপাতালের রবিবার সকাল থেকেই হইচই পড়ে যায়। অভিযোগ হাসপাতালের রোগীদের দেওয়া হচ্ছে ওই নিষিদ্ধ স্যালাইন। রবিবার গোপীনাথপুর এলাকার এক বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তি হন। রোগীর আত্মীয়রা লক্ষ্য করেন, তাঁকে ওই ‘নিষিদ্ধ’ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
এর পরেই নার্সকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ডাক্তারবাবুর কথাতেই এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়,নার্সকে ওই স্যালাইন দিতে বলা হয়নি
নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই চাপান উতোর এর মাঝেই জানা যায় ওই স্যালাইন খুলে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস জানিয়েছেন “প্রত্যেকটি হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্যালাইন ব্যবহার না করার জন্য। তার পরেও যদি কেউ ব্যবহার করে সেই দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।’
ভিডিও দেখুন-