
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ঃ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল চমকে দিলে সব পক্ষকে। নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন জনতা বিমুক্তি পেরামুনার ওরফে জেভিপি’র প্রধান অনুরাকুমার দিশানায়েক। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন এই বামপন্থী নেতা। দিশানায়েকের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কার বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার।
ভোট-ফলাফল বলছে, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন বামপন্থী নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েক। বাম মনোভাবাপন্ন দিশানায়েক ভোট পেয়েছেন ৪২. ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয়স্থানে আছেন বিরোধী এসজেবি-র নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩২.৭৬ শতাংশ। সবাইকে অবাক করেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ড রনিল বিক্রমসিংহে পেয়েছেন মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট।
দিশানায়েকের জনতা বিমুক্তি পেরামুনার শ্রীলঙ্কার একটি কমিউনিস্ট পার্টি। মার্কসবাদে বিশ্বাসী এই দলকে গণ অভ্যত্থান পরবর্তী সময়ে বেছে নেওয়াকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। দলের পলিটব্যুরোর সদস্য দিশানায়েকের দল একটা সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির মতো সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। রাষ্ট্রের সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের ৬০ হাজারের বেশী কমরেড শহীদ হন। তারপর দল অবস্থান পরিবর্তন করে। শান্তির পথে বিপ্লব অর্জনের কথা ঘোষণা করে। ভোটে অংশ নিতে শুরু করে। যদিও বিগত সংসদে তাদের মাত্র তিনদন সাংসদ ছিলেন। এবার দিশানায়েকের হাতে ভার পড়ল দেশ গড়ার। বিধ্বস্ত অর্থনীতিই এখন শ্রীলঙ্কার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, দু-বছর আগে শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভের মুখে পটপরিবর্তন হয়। অভ্যত্থানের মুখে দেশ ছাড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ও প্রাইম মিনিস্টার। তাঁরা দু’জনেই রাজাপাকসে পরিবারের দুই ভাই। নতুন সরকারের দায়িত্ব নেন সংসদে এক সদসের দলের নেতা রনিল বিক্রমসিংহে।