
স্পোর্টস ডেস্ক ‘ঋদ্ধিমান সাহা উইকেটের পেছনে সুপারম্যান। ব্যাট হাতেও দরকারের সময়ে নিজেকে মেলে ধরেন। যে কোনো সময়ে নিজেকে প্রমাণ করেন। আইপিএলে খেললেও বর্তমান ভারতীয় দলে ২ বছরের উপর ব্রাত্য।। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরছেন। বিজয় হাজারে অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন ভালো পারফরমেন্সও করছেন।। এদিন ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন সেখানে বাজপাখির স্ট্রাইলে ক্যাচ ধরেন। আর ফেসবুকে লিখলেন,’কী করব, অভ্যেস হয়ে গিয়েছে।’ এই ৪ টে শব্দতেই নিজের হতাশা প্রকাশ করলেন। ২০২২ সালে ঋদ্ধিকে জাতীয় টেস্ট দল থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল শুধুমাত্র বয়সের কারণ দেখিয়ে । বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই। জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে হোটেলের ঘরে ডেকে সাফ বলে দিয়েছিলেন, টিম ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ প্রকল্পে তাঁর নাম ভাবা হচ্ছে না। তিনি যেন চাইলে কোনও সিদ্ধান্ত (পড়ুন অবসরের সিদ্ধান্ত) নিতে পারেন।এরপর সিএবি-রযুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস সরাসরি প্রশ্ন তুলে দেবেন তাঁর খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নিয়ে। অভিযোগ করবেন, বিভিন্ন চোটের অজুহাতে নাকি বাংলার হয়ে ম্যাচ খেলতে চান না ঋদ্ধিমান। এরপরই অপমানে, ক্ষোভে বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ঋদ্ধিমান। সই করেন ত্রিপুরাতে। গত মরসুমে ত্রিপুরার হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন ঋদ্ধিমান।
দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট ম্যাচ ও ৯টি ওয়ান ডে খেলা ক্রিকেটারের কেরিয়ারের শেষ কি তবে এরকম বর্ণহীনভাবে হল?
ঋদ্ধিমান অন্তত তা মনে করেন না। বয়স ৩৮ পেরিয়েছে। তবে ঘনিষ্ঠমহলে ঋদ্ধিমান জানিয়েছেন, এখনও ক্রিকেট বেঁচে রয়েছে তাঁর মধ্যে। তাই এবারের আইপিএলকে ঋদ্ধিমান দেখছেন নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার মঞ্চ হিসাবে। সমালোচনার জবাব দেওয়ার সুযোগ হিসাবে।
২০২২ আইপিএল গুজরাট টাইটন্সকে চ্যাম্পিয়ন হতে তিনি যেমন বড় ভূমিকা নেন ঠিক তেমন গতবার গুজরাট রানার্স হয়। আর ঋদ্ধি ভালো পারফরমেন্স করেন। ফাইনালেও রান পান।