
সুচেতা রায় উপাধ্যায়,এলাহাবাদঃ জ্ঞানবাপী মসজিদের এএসআই’কে সমীক্ষার ছাড়পত্র দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মসজিদ চত্বরে কোনও রকম সমীক্ষার বিরোধিতা করে ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি’ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রীতিনকর দিবাকরের বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি, বিতর্কিত ওজুখানা সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা করা যাবে না বলে বারাণসী জেলা আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন জানান, ‘‘আমরা নিশ্চিত, এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞেরা এ বার সত্যটা প্রকাশ করবেন”।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানা এবং ভূগর্ভস্থ জলাধারের তথা কথিত শিবলিঙ্গ বাইরে এএসআই-কে সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি।
গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার জন্য বারাণসী জেলা আদালতের দেওয়া সমীক্ষা নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। গত ২৬ জুলাই মসজিদ কমিটির আশঙ্কা প্রকাশ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করে, জ্ঞানবাপী সমীক্ষার অনুমতি দিলে প্রাচীন ওই সৌধের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এএসআই’র বিশেষজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখা উচিত। এএসআই আদালতকে জানায়, ‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার’র সাহায্যে খননের কাজ ছাড়াই সমীক্ষার কাজ করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে প্রাচীন কাঠামোর কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।