
ওঙ্কার ডেস্ক: কলেজে পড়াশোনার পাঠ চোকানোর আগেই বিয়ে করেছিলেন। ভেবেছিলেন স্বামীকে নিয়ে সুখেশান্তিতে থাকবেন। কিন্তু বিয়ের সাত মাসের মধ্যে মোহভঙ্গ হল ১৯ বছরের কলেজপড়ুয়া সাহানা মুমতাজের।
অভিযোগ, ইংরেজিতে কথা বলতে না পারায় স্বামী আব্দুল ওয়াহাব প্রায়ই মুমতাজকে হেনস্থা করতেন। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ওই তরুণী। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। কেরলের মলপ্পুরমে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মলপ্পুরম জেলায় নিজের বাড়ি থেকেই মুমতাজের দেহ উদ্ধার হয়। ওই তরুণী গণিতের প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
গত বছর মে মাসে আব্দুল ওয়াহাবের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। আব্দুল আবু ধাবির একটি সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
ওই তরুণীর পরিবারের দাবি, বিয়ের তিন সপ্তাহ পর আবু ধাবিতে চলে যান আব্দুল। ইংরেজিতে কথা বলতে না পারায় এবং গায়ের রঙ নিয়ে প্রায়ই নববধূকে খোঁটা দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আব্দুলের বিরুদ্ধে ওই নববধূর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সম্প্রতি মুমতাজের ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।