
ওঙ্কার ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নম্বর AI171) আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটিতে ২ জন পাইলট, ১০ জন ক্রু মেম্বার সহ মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান। এছাড়াও ১১টি শিশুও ছিল ওই বিমানে।
উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাইলট ককপিট থেকে ‘মেডে’ সংকেত পাঠান। এই সংকেত একটি জরুরি সহায়তা চাওয়ার সংকেত। এর কিছু সময় পরেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (ATC) সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের। এরপর বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানীনগর এলাকার বি জি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় এবং চারপাশ ঢেকে যায় ঘন কালো ধোঁয়ায়। ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঐ হোস্টেলের মেস এরিয়া, অনুমান করা হচ্ছে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছন বি জি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের বহু ছাত্র। হোস্টেলের হতাহতের তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি।
উল্লেখ্য এই ‘Mayday’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ “m’aider” থেকে, যার অর্থ “আমাকে সাহায্য করো”। এই সংকেতটি লন্ডনের ক্রয়ডন বিমানবন্দরের রেডিও অফিসার ফ্রেডরিক স্ট্যানলি মকফোর্ড তৈরি করেন। ১৯২৩ সাল থেকে এটি বিমান ও জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরি সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯২৭ সালে এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়। যখন কোনও পাইলট তিনবার “Mayday” বলেন, তখন বোঝা যায় যে বিমানটি মারাত্মক বিপদের মধ্যে পড়েছে এবং দ্রুত সাহায্যের প্রয়োজন। এই সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সব রেডিও বার্তা বন্ধ করে সেই বিমানের বিষয়েই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। পাইলট এরপর জানান বিমানের নাম বা কল সাইন তার অবস্থান কী ধরনের সমস্যা হয়েছে বিমানে কতজন আছেন কী ধরণের সাহায্য দরকার
AI171 বিমানের পাইলট যেহেতু উড়ানের কয়েক মিনিট পরই ‘মেডে’ সংকেত পাঠিয়েছিলেন, বোঝা যাচ্ছে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বিপদ বুঝতে পেরেছিলেন। সংকেত পাওয়ার পর ATC জরুরি ব্যবস্থা শুরু করে, উদ্ধারকারী বাহিনী ও চিকিৎসা দল ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়।