
তামসী রায় প্রধান, ওঙ্কারঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে তদন্তের একটি রিপোর্টে এসেছে অভিষেকের নাম ও প্রসঙ্গ। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টটি ইতিমধ্যে দিল্লিতে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের কোনও রিপোর্টে সরাসরি অভিষেকের নাম এল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে, মাস দুয়েক আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করে ইডি। সূত্রের খবর জেরার মুখে সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের নাম ও প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি’র রিপোর্টের ৩১ নম্বর পাতায় অভিষেকের নামের উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিষয়টিই এখনও তদন্তসাপেক্ষ। এখনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেবেনা ইডি, বলে জানা গিয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন (PMLA) সংক্রান্ত মামলায় আদালতে একটি আবেদনও করা হয়েছে। সেই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তৎকালীন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয় দেখতেন। সুজয়কৃষ্ণ অভিষেকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সে সময় ভদ্র কাকু তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভ়ট্টাচার্যকে অভিষেকের বার্তা পৌঁছে দিতে তাঁর অফিসে যেতেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মানিক এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে ইডি সূত্র মারফৎ মিলেছে এই খবর। আরও জানা গিয়েছে, একাধিক চাকরিপ্রার্থীর রেজাল্ট এবং অ্যাডমিড কার্ড সুজয়কৃষ্ণ মানিককে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন। আর সেই সূত্র ধরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা, বলে ইডি সূত্রে খবর।