
প্রতীতি ঘোষ, বনগাঁ: লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর জয়ী হলেও ক্রমেই সেখানে আলগা হচ্ছে বিজেপির মাটি। কিছুদিন আগেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে তৃণমুলের হয়ে জয়ী হয় ঠাকুরবাড়িরই আরেক সদস্য মমতা বালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্না ঠাকুর। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বিজেপির ঘর ভেঙ্গে তৃণমূলের ঘর ভরছে বনগাঁয় ।
এবার বনগাঁয় পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হল বিজেপির । বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিল গাইঘাটা ব্লকের ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাচপোতা ঢাকাপাড়া ১২৮ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য হরশিত বিশ্বাস সহ আরও ৪০জন বিজেপি কর্মীরা। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাইঘাটা ব্লকের ফুলসরা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে। মোট ২৪টি আসন ছিল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে। তার মধ্যে ১২টি পায় বিজেপি, ১১টি তৃণমূল ও নির্দল ১টি। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড গঠন করে বিজেপি। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগদান করে ওই নির্দল। হিসেব অনুসারে তৃণমূল ১২ বিজেপি ১২ তে চলে আসে। তবে বুধবার বিকেলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যলয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের হাত ধরে যোগদান করে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। যার ফলে বর্তমানে ২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১১ তৃণমূল ১৩ হয়ে যায়। এবিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, পঞ্চায়েত আমাদের দখলে হবে। বনগাঁয় আরও তিনটে পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে আছে তারাও যোগযোগ করছে। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী ওই পঞ্চায়েত সদস্য হরশিত বিশ্বাস বলেন, ওই দলে থেকে গ্রামের কোন উন্নয়ন করতে পারছিলাম। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা উপনির্বাচনের আগেই বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরে আবারও দল ত্যাগ করে তৃণমূল যোগ দিল একাধিক বিজেপি কর্মীরা। তবে প্রশ্ন জাগছে, ক্রমেই কি তবে শান্তনু ঠাকুরের থেকে আস্থা হারাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা?