
প্রতীতি ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা : শেখ হাসিনার পদত্যাগের দুদিন পার. এখনও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ. দিকে দিকে ধরা পড়ছে হিংসার ছবি. আপাতত দেশ চালাচ্ছে সেনারা। এদিকে, সেনা-সমর্থিত বা রাষ্ট্রপতিশাসিত কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না। স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
ওপারের অশান্তির আঁচ এসে পড়েছে এপারেও. উত্তাল পড়শি রাষ্ট্রে যাঁদের আত্মীয় স্বজন রয়েছেন, তাঁরাও চিন্তায় দু চোখের পাতা এক করতে পারছেন না. তেমনি একজন কাঁকিনাড়ার মুণিষা মণ্ডল. তিনি জানান, তাঁর মা-বাবা থাকেন বাংলাদেশের বররিশালে. কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না. তাঁরা কেমন আছেন, কোনো বিপদে পড়েছেন কিনা, এই ভেবে উদ্বেগে দিন কাটছে তাঁদের.
এই মুহূর্তে তারা কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। চাইছেন যত তাড়াতাড়ি তারা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন তাহলেই তারা মনে শান্তি পাবেন।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ. মঙ্গলবার রাত থেকে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বিএসএফ গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা করে জানানও হয়েছে এই তথ্য।