
ওঙ্কার ডেস্ক:দুয়ারে আরাকান আর্মি,ঘুম উড়েছে ইউনূস সরকারের।একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন চলতে থাকা মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির লড়াইয়ে বড় সঙ্কটের মুখে মায়ানমারের জুন্টা সরকার। এবং ইতিমধ্যে এই যুদ্ধের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাদেশে ।সীমান্তে মায়ানমারের অন্যতম বড় শহর মংডু দখল করেছে বিদ্রোহীরা, যার জেরে আবার রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ সরকার।সোমবার আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুকা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে এবং তিনি আরো জানিয়েছেন ওই সেনাঘাটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার যেন থুরেন তুনকে পালানোর সময় বন্দি বানিয়ে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা সেই থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে মায়ানমারে। মায়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ৪০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত মংডুর উপর গত জুন মাস থেকে নজর ছিল আরাকান আর্মির, তা দখল করার কথা এদিন তারা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। গত ফেব্রুয়ারিতে হামলার মুখে কয়েকটি রোহিঙ্গা সংগঠনের নেতারা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে আশ্রয়ের পর তাদেরকে আটকও করেছিল পুলিশ। কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন বলছে এমন অবস্থায় নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের এক ধরনের শঙ্কা রয়েছে। তারা জানিয়েছেন এমতাবস্থায় আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার ক্রস করে যাতে কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর দেওয়া, কারণ যে সমস্ত রোহিঙ্গা বাহিনী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চূড়ান্ত সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে চিন্ময়দাস প্রভুকে গ্রেফতার ও হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ এবং সেই নিয়ে ভারতের সাথে চলছে চাপানউতোর এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত টহলদারি চালাচ্ছে বিজিবি। এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ কিভাবে আটকানো যাবে এবং যদি তাদের আবার রোহিঙ্গা শরণার্থী আসে তাদের পরিসেবা প্রদানের জন্য যে অর্থনৈতিক ক্ষতির স্বীকার হবে বাংলাদেশ তা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে।