
ওঙ্কার ডেস্ক: সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনার আমলের ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করেছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। এর পর রবিবার গেজেট আকারে জারি হয়। আর এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সে দেশের সরকারি কর্মীদের বড় একটি অংশ।
টানা চার দিন ধরে ঢাকায় সরকারি সচিবালয়ের ভিতর বিক্ষোভ অবস্থান করছেন বিভিন্ন দফতর এবং বিভাগের কর্মীরা। মঙ্গলবারও সেই বিক্ষোভ অব্যাহত। এই আন্দোলনের জেরে কার্যত অস্বস্তিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দাবিপূরণ না-হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীরা।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের কোনও সরকারি কর্মচারী যদি সরকার বা প্রশাসনের প্রতি আনুগত্যের পরিপন্থী এমন কোনও কাজ করেন, তা হলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ছুটি নিলে চাকরি হারাতে হতে পারে। পাশাপাশি সহকর্মীকেও অযৌক্তিক কারণে ছুটি নিতে প্ররোচিত করলে শাস্তি হতে পারে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কাজ করতে ব্যর্থ হলে সরকারি কর্মীদের চাকরি হারাতে পারে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনও কর্মচারী দোষী সাব্যস্ত হলে কেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানাতে হবে। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। শাস্তি পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে যেতে পারবে।