
ওঙ্কার ডেস্ক: রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনও চলমান বাংলাদেশে। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে সেদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি। এর মাঝে এবার সামনে এল বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের চক্রান্ত।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিকল্পনা করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। বিদ্রোহ সংঘটিত করতে পাকিস্তানের সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। বিদ্রোহ করার উদ্দেশে চলতি মার্চ মাসে কয়েকজন সেনা আধিকারিকের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেছিলেন ফয়জুর।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ফয়জুরের। ক্ষমতা দখল করতে তাই তাদের সাহায্য চেয়েছেন তিনি। কিন্তু যে সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি গোপন বৈঠক করেছিলেন তাদের মধ্যে কেউ বিষয়টি ফাঁস করে দেন সেনা প্রধানের কাছে। যার পর থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানের উপর নজরদারি বাড়িয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ও তাঁর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ফয়জুর রহমান। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে বড় কোনও ঘটনা ঘটতে চলেছে।
ফয়জুর রহমানের সঙ্গে যারা বৈঠক করেছেন সেই ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁরা হলেন মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান। মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, মেজর জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ মসিউর রহমান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লা মিনহাজুল আলম, মেজর জেনারেল এএসএম রিদওয়ানুর রহমান, মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর মাহমুদুল্লাহ এমদাদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর জেনারেল এসএম কামাল হোসেন।
শেখ হাসিনা গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ছাড়ার সময় সেদেশের সেনা বাহিনীর প্রধান ওয়কার উজ জামান সাহায্য করেছিলেন। তিনি মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমানে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেই আবহে এবার সেনা বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের চক্রান্ত ফাঁস হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পদ্মাপাড়ে।