
শেখ এরশাদ, কলকাতা: উৎসবের আমেজ শুরু না হতে হতেই বিষাদের সুর বাঁশদ্রোণীতে। মহালয়ার সকালে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে জেসিবির ধাক্কায় মৃত্যু এক নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীনেশ নগরের ১১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্র। ছাত্র মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় কাউন্সিল অনিতা কর মজুমদারকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। এই দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আচমকাই একদল দুষ্কৃতী বিক্ষোভকারিদের উপর চড়াও হয়। মহিলাদের উপর হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। একজন মহিলা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে আসেন পাটুলি থানার ওসি। তাকে কাদ জলে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা।এরপর পুলিশ বাহিনী এসে ওসিকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিসি দক্ষিণ শহরতলি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। ধরপাকড় শুরু হয়। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের অসিন্টান্ট পুলিশ কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল। তিনি বিক্ষোভকারিদের সঙ্গে কথা বলেন, আশ্বাস দেন অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করা হবে। মহিলাদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তার তদন্ত হবে। যদিও এরপরেও বিক্ষোভ থামেনি। স্থানীয় কাউন্সিল ও বিধায়কে ঘটনাস্থলে আসার দাবিতে ফের নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় জেসিবির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসারা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তারপর দফার দফায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দা। এদিকে কাউন্সিল অনিতা কর মজুমদার বলেন, ঘটনাটি দুঃখাগ্যজনক। তবে এটা একটা বড় কাজ। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে।