
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা : মাত্র ৫ ফুট দূরত্বে বাংলাদেশ সীমান্ত. ফেন্সিং থাকলেও নেই কোনও কাঁটাতার. এই বুঝি ওপার বাংলা থেকে মানুষজন ঢুকে পড়লো. আতঙ্কে খাওয়া-দাওয়া ভুলে গিয়ে রাত জাগছেন ঘোজাডাঙ্গার দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দারা.
বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। একদিকে হাসিনা সরকারের পতন. অন্যদিকে, দেশজুড়ে অরাজকতা, হিংসা, লুঠপাট. যেন হত্যালীলা চলছে পড়শি রাষ্ট্রে। এই আবহে, সেখানকার বহু মানুষ প্রাণভয়ে এ দেশে পালিয়ে আসতে চাইছেন.
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত ১৯২ কিলোমিটার. তার মধ্যে স্থল ও জলপথ রয়েছে। বিএসএফ-এর নজরদারি থাকলেও ভারত বাংলাদেশ ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দারা গভীর আতঙ্কে রয়েছেন। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা ওপার ছেড়ে গা ঢাকা দিতে পারে এই গ্রামে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমানায় কাঁটাতারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে, রাজ্য সরকারের জমি জটের কারণে বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। যেসব জায়গায় কাঁটাতার রয়েছে, তার অবস্থা বেহাল। লোহার স্ট্রাকচার থাকলেও নেই তার।
এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, একটা সময় কাঁটাতার খুবই মজবুত ছিল। তবে, বেশ কয়েক বছর হল সংরক্ষণের অভাবে তারের বেহাল অবস্থা.
পাশাপাশি গ্রামবাসীরা জানান, বিএসএফের করা নজরদারি থাকলেও রাতের অন্ধকারে মাঝেমধ্যে দুষ্কৃতীরা সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকে লুকিয়ে থাকছে.
এই সীমান্ত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর. এই বন্দরে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি রপ্তানি করে। হাজার হাজার কোটি টাকা সরকার মুনাফা পায় এই সীমান্ত থেকে। আর সেই সীমান্তের করুণ দশা। অবিলম্বে যত দ্রুত সম্ভব সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, দাবি স্থানীয়দের।