
ওঙ্কার ডেস্কঃ এবারেও জামিন পেলেন না চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু। বাংলাদেশে প্রায় দেড়মাস ধরে বন্দি সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। বৃহস্পতিবার প্রায় আধ ঘণ্টার শুনানির পরে চট্টগ্রাম আদালতে খারিজ হয়ে যায় তার জামিনের আবেদন। বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাও হতে পারে। তাই জামিন নয়।
তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতারের পরবর্তী দিন ২৬ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে আইনজীবী আলিফকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হিন্দু বিক্ষভকারীদের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা যায় ভারতীয় পতাকার অপমান।
চিন্ময়কৃষ্ণের প্রথম আইনজীবী শুভাশিস শর্মা আত্মগোপন করেছেন গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচতে। দ্বিতীয় আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে সকাল ১০ টার দিকে হওয়া শুনানিতে চিন্ময় প্রভুর পক্ষে সওয়াল করেন ১১জন আইনজীবীর দল। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আদালতে হাজির করা হয়নি। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা আদালত চত্বর। আইনজীবীদের যুক্তি নামঞ্জুর করে আদালত।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার অভিযোগকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে খারিজ করে দেয় চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর জামিন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিমউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জামিন শুনানিতে রাষ্ট্র আপত্তি দেখিয়েছে এবং জানিয়েছে এটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, এর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে। কলকাতা ইসকনের ভাইস- প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, “আমরা আশায় ছিলাম। রায় খুবই হতাশাজনক।”
প্রায় দেড় মাস হয়ে যাওয়ার পরেও জেলে বন্দি রয়ে গেলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। দিনের পর দিন বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে এগোচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ এবং ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সুখদুঃখের বন্ধনে আবদ্ধ বাংলাদেশ, এক্ষেত্রে মিত্রতা বজায় রাখা বাংলাদেশের দায়িত্ব। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখতে পাব, ১৬ ডিসেম্বর হোক বা মুক্তিযুদ্ধ সকল পরিস্থিতিতেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে ভারত। তাহলে বাংলাদেশ এখন কেন ভুলছে ভারতের প্রতিদান? এটিই এখন বড় প্রশ্ন।