
ওঙ্কার ডেস্কঃ মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন এলাকায় বিপদজ্জনক ভাবে হেলে পড়েছিল ‘শুভ এপার্টমেন্ট’ নামক একটি বহুতল। এক রাতেই তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তবে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের আগাম সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ায় বিপদ কিছুটা হলেও ঠেকানো গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাদের। মঙ্গলবার রাতেই শুরু হয়েছিল হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়িটি ভাঙার কাজ। বুধবার সকাল থেকে পুরসভার কর্মীরা পুরোদমে লেগে পড়েছেন বাড়িটি ভাঙার কাজে।
স্থানীয়বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েকমাস আগে এপার্টমেন্টটিতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তারপরেই ধীরে ধীরে হেলে পড়তে শুরু করে বাড়িটি। গত ১৭ই ডিসেম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরেই শুরু হয় ফ্ল্যাট বাড়ি সোজা করার প্রক্রিয়া। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানান, ১০-১২ বছর আগে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি ভাবে শুরু হয় ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ। বাসিন্দাদের অভিযোগ চারতলা বাড়ি বানানোর অনুমোদন না পাওয়ার পরেও গড়ে তোলা হয় বহুতলটি। বুধবার সকালে বাড়ি ভাঙার সময় উপস্থিত ছিলেন ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। তাছাড়াও মঙ্গলবার রাতেই উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার পুলিশের ডিসি কলিতা দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার রাতেই এফআইআর দায়ের করা হয় নেতাজিনগর থানায়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার বহুতলের প্রোমোটার সুভাষ রায় । পুলিশ সুত্রের খবর, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।