
উজ্জ্বল হোর, জলপাইগুড়ি : বিগত কয়েক দিন ধরে যখন ভারত সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশের অশান্তির কালো মেঘ, ঠিক সেই সময় উত্তরের হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ডুয়ার্সের ডামডিম নামক স্থানে এক সুবিসাল জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা বোকার শেদ্রা ওবার চিমেইলিং ইনস্টিটিউট ফর হাইয়ার বুদ্ধিস্ট স্টাডিস রিসার্চ -এর উপাসনা স্থলে বৌদ্ধ ধর্ম গুরুর তত্ত্বাবধানে প্রায় সাড়ে তিনশো নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ের উপস্থিতিতে প্রতিদিন বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্যে করা বিশেষ প্রার্থনার সঙ্গে চলছে বৌদ্ধ দর্শন শিক্ষার পাঠ।
আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে দুরে দৃশ্যমান পাহাড়ের খাঁজ, বৌদ্ধ দর্শনের সুনিপুণ কারুকার্যে ভরপুর সুবিশাল উপাসনা স্থলের এমন পরিবেশে ক্ষণিকের অবস্থানেই মনে অনুভূত হয় শান্তির উপস্থিতি, যে কারণে নিত্যদিনের মানসিক চাপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটক থেকে আশপাশের জেলা থেকে বহু শান্তিকামী মানুষের ভীড় বাড়ছে এই বৌদ্ধ দর্শন প্রচারের শিক্ষা নিকেতনে।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন শাখার মধ্যে অন্যতম একটি কর্মা ডামডিমের এই বৌদ্ধ দর্শন শিক্ষায়তনে. মূলত এই কর্মা বিভাগের দর্শন সঙ্গে তিব্বতীয় তন্ত্র সাধনার পাঠ নিয়ে বিশ্ব শান্তির বার্তা প্রচারের জন্য তৈরী হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিনশো ভবিষ্যতের বৌদ্ধ লামা।
যদিও ইতিমধ্যেই এই বৌদ্ধ দর্শন শিক্ষায়তন থেকে ১৭ বছরের কঠোর অধ্যায়নের পর ভারতের সিকিম রাজ্যের সন্তান তৃতীয় বোকা রেনপঁচে কর্মা বিভাগের বৌদ্ধ ধর্ম গুরুর দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী তেনজিং দাওয়া জানান, এই বৌদ্ধ দর্শন শিক্ষায়তনে এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে তিনশো ভবিষ্যতের বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক তথা বিশ্ব শান্তির দূত তাঁদের কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত রয়েছে. আমাদের একটি মাত্র লক্ষ্য, বিশ্ব শান্তির জন্য ভগবান বুদ্ধের আদর্শ, দর্শনকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া।