
উজ্জ্বল হোর, জলপাইগুড়ি : ২০০৮ সালে যে ছাত্র পেয়েছিল বুদ্ধবাবুর আশীর্বাদ, আজ তিনিই জলপাইগুড়ি জেলা যুব কংগ্রেসের অন্যতম মুখ. জলপাইগুড়ির জেলা যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি নব্যেন্দু মল্লিক.
মনে পড়ে যাচ্ছে ২০০৮ সালের ২৫ শে ডিসেম্বরের কথা। তখন আমি জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনের ছাত্র। খবর পেলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ি আসছেন। সেই সময় ছবি আঁকার একটা ঝোঁক ছিল আমার। সেইসময় ছবি এঁকে বেশ কয়েকবার পুরস্কৃত হয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আসছেন জেনে সিদ্ধান্ত নেই আমার আঁকা ছবি তাঁকে উপহার দেব। যেমন ভাবা তেমন কাজ। ছবি তো আঁকা হলো কিন্তু দেওয়া? আদৌও কি তা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারব! এত নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। প্রোটোকল। এরপর জেলা সিপিএমের নেতৃত্বকে গিয়ে ধরলাম। তাঁরাও জানিয়ে দিলেন, সম্ভব নয়। তবে জলপাইগুড়ির সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সাথে সাথেই পদক্ষেপ করেন বুদ্ধবাবু। তৎকালীন জেলাশাসক বন্দনা যাদব এবং পুলিশ সুপার মনোজ ভার্মাকে নির্দেশ দিলেন আমাকে তার কাছে নিয়ে আসার।
বাড়িতে মন খারাপ করে বসেছিলাম। হঠাৎ শুনি সরকারি গাড়ি এসেছে পাড়ায় আমারই খোঁজে! রীতিমতো ধরেবেঁধেই আমাকে নিয়ে যাওয়া হল সার্কিট হাউসে বুদ্ধবাবুর কাছে। ঘরে ঢুকেই প্রথমেই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলাম। নিজের হাতে আঁকা ছবি তুলে দিলাম। জানতে চাইলেন- “কি নাম? কোন স্কুলে পড়ো? ছবিটি আঁকতে কতদিন সময় লেগেছে?” প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলাম। এরপরেই জানতে চাইলেন পুলিশ আমার সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করেছে কিনা! আমি বললাম – “না”। এরপর তিনি বললেন ” বেষ্ট অফ্ লাক। জীবনে অনেক বড় মানুষ হও।”
মাত্র ছয় মিনিটের সাক্ষাৎ। কিন্তু সেই স্মৃতি এখনও টাটকা জলপাইগুড়ির জেলা যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি নব্যেন্দু মল্লিকের মনে.