
আদালত প্রতিনিধি, কলকাতাঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট পেপার ষড়যন্ত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেলেন উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিওর। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফেরত পাঠাল সিঙ্গল বেঞ্চের কাছেই। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতিকে আগামী ৩ অগাস্ট বিডিও-র আবেদন শুনানির সুপারিশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ১ নম্বর ব্লকের বহিরা পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা খান অভিযোগ আনেন মনোনয়নপত্র বিকৃতি ও ব্যালটে ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওবিসি হওয়া সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রের চেকলিস্টে জাতিগত শংসাপত্রের জায়গায় তার উল্লেখ করেননি বিডিও। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাশ্মীরা খান। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে’র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেয় আদালত।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্টে বিডিও, এসডিও ও অনগ্রসর শ্রেণির দফতরের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন। তিনি সুপারিশ করেন, তিনজনকেই সাসপেন্ডের।
বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে কে সরিয়ে দেওয়া হয় পদ থেকে। ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন নীলাদ্রিশেখর। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিতে বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন নীলাদ্রিশেখর দে। ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, রাজ্য এবং সংশ্লিষ্ট বিডিওর আবদনেই সিবিআইয়ের বদলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি তদন্ত করে,এখন সেই সুপারিশ মানতে অস্বীকার করছেন কেন? ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফেরত পাঠায় সিঙ্গল বেঞ্চের কাছেই। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতিকে আগামী ৩ আগস্ট বিডিও-র আবেদন শুনানির সুপারিশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।