
অমিত কুমার দাস ও উজ্জ্বল হোড়, ওঙ্কার বাংলাঃ শ্রাবণ মাসের পুণ্যতিথিতে মহাদেবকে জলাভিষিক্ত করতে মন্দিরে মন্দিরে ঢল নামবে ভক্তদের। তবে চলতি বছরও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশ মন্দিরে ভক্তরা সরাসরি জল ঢালতে পারবেন না দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এমনই সিদ্ধান্ত বহাল থাকল পূর্ব ভারতের বৃহত্তম শৈব তীর্থ জল্পেশ মন্দিরে।
গত বছর ২০২২ এর শ্রাবণ মাসে জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে জল ঢালতে গিয়ে ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন জনৈক রাজ কুমার দাস। এরপরে তিনি শ্রাবণ মাসে জল্পেশ মন্দিরে ব্যাপক ভিড় প্রসঙ্গে জনস্বার্থ মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটিকে এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি। দু পক্ষের সওয়াল জবাবের পর, বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, শ্রাবণ মাসে মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ করানো যাবে না। তার বদলে চ্যানেলের মাধ্যমে শিবের মাথায় জল ঢালতে হবে। সেই সঙ্গে জায়েন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে ভক্তরা দেখতে পাবেন তাঁদের ঢালা জল শিবলিঙ্গে গিয়ে পড়ছে কিনা। শুধু তাই নয়, বিচারপতি আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, মন্দিরে আসা কোন ভক্তের কাছ থেকে নেওয়া যাবেনা চাঁদা।
চলতি বছরও এই রায় বহাল রাখার দাবিতে ১৯ শে জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে ফের জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ডেকে পাঠানো হয় ময়নাগুড়ির বিডিওকে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পুলিশ প্রশাসন, মন্দির কমিটিকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করতে ও ২২ শে জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শনিবার ইমেল ও হোয়াটসঅ্যাপ মারফত হাইকোর্টের নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্দির কমিটিকে। নির্দেশিকার কপি ইতিমধ্যে সেঁটে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের দেওয়ালে।