
অমিত কুমার দাস, কলকাতা : প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। এই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে চার্জশিটের কপিও। তদন্তে যা পাওয়া গেছে, তারই বিস্তারিত তথ্য এই রিপোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর দাবি, অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল সহ আরো কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে অশুভ আঁতাত গড়ে ওঠে। তারা অবৈধ ভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল অর্থ সংগ্রহের জন্য একটা চক্র তৈরি করেছিল। সেখানে তাপস মণ্ডল তার সাব – এজেন্টদের মাধ্যমে মূলত টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নিত।
সিবিআই উল্লেখ করেছে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাপস মণ্ডল তার ৮ জন এজেন্টদের মাধ্যমে ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। সে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষকে ৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিয়েছে। প্রায় একই কায়দায় এবং একই সময়কালে কুন্তল ঘোষ তার তিনজন এজেন্টদের মাধ্যমে ৭১ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা তুলেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের আরও দাবি, এই অভিযুক্তরা মিলে www.wbtetresults.com বলে একটা ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টেটে অকৃতকার্য প্রার্থীদের কৃতকার্য বলে দেখানো হত। একেবারে অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতোই দেখতে ছিল এই ওয়েবসাইট।
অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত। যথাযথ নিয়ম না মেনে ওএমআর মূল্যায়নের জন্য এস. বাসু রায় এন্ড কোম্পানিকে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
রিপোর্টে সিবিআই আরও জানিয়েছে, ২০১৭ সালে ৭৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশিত হয় যেখানে এদেরকে উইথহেল্ড ক্যানডিডেটস বলে দেখানো হয়। এরা প্রত্যেকেই অযোগ্য প্রার্থী। এই ৭৫২ জনের মধ্যে ৩১০ জনকে চাকরি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।