
ওঙ্কার ডেস্ক: আচমকা পদত্যাগ করলেন ট্রুডো সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।পদত্যাগের কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন ট্রুডোর সাথে তার মনোমালিন্যের কথা, এবং যার জেরে লিবারেল পার্টির অন্দরে দাবি উঠেছে ট্রুডোর পদত্যাগের। যদিও এখনও এই নিয়ে মুখ খোলেননি ট্রুডো । বহূদিন ধরেই কানাডাতে চলছে আর্থিক মন্দা ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা।এই পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের জেরে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়াও ট্রুডো ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রীর পদে তাঁর বিশ্বস্ত সহকর্মী ডমিনিক লেব্লুঁকে বসিয়েছেন, যার জেরে নিজের দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল।
কানাডার সংবাদমাধ্যম গুলি দাবি করেছে, প্রায় ৬০ জন সাংসদ ইতিমধ্যেই ট্রুডোর বিরোধিতা করছেন এবং কয়েক মাসে কানাডায় ট্রুডোর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে কানাডার সাধারণ মানুষ ও নিজের দলের মধ্যেই। সোমবার অর্থমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ ছিল সেই ক্ষোভের আগুনে ঘৃত দান।এ বার প্রকাশ্যেই পার্লামেন্ট লিবারেল পার্টির সদস্যেরা ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি তুললেন। অন্যদিকে এই সময় প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। বিরোধী নেতা পিয়েরে পোইলিভর বলেন, ‘‘ট্রুডোর উপর এখন কারও আস্থা নেই। এমনকি, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও আস্থা হারিয়েছেন তিনি সুতরাং তার পদত্যাগ কড়া উচিৎ।’’
এ বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য না করলেও, সোমবার সন্ধ্যায় ট্রুডো বলেন ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনে পরম সৌভাগ্য। কানাডা বিশ্বের সেরা দেশ, তবে নিখুঁত নয়। তাই প্রতি দিনই ভাল কিছু করার বিষয়ে চিন্তা করি।’’