
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্ব জুড়ে ফের জাগছে করোনার দুঃস্বপ্ন। ২০২০ থেকে ২২ সালের করোনা আতঙ্ক, এবং তার পরবর্তি উপসর্গ নিয়ে এখনও ধুঁকছে বিশ্ব, তার মধ্যে ফের দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে মাথা চাড়া দিচ্ছে কোভিড আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে কয়েকজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুও ঘটেছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও চড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৭ দিনে রাজ্যে ১৮ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
এই মুহূর্তে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ২ জন কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৯ মাসের এক শিশুও। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ২২ মে ভর্তি করা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে ওই শিশুকে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৫ বছরের এক মহিলা। ১৯ মে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতিও আশঙ্কাজনক। এখনও পর্যন্ত ১০৪ জন সক্রিয় কোভিড কেস ধরা পড়েছে। গত এক সপ্তাহে ৯৯ জনের রিপোর্ট করা হয়েছে। দেশের কেন্দ্রীয় কোভিড-১৯ (COVID-19) ড্যাশবোর্ড দেখাচ্ছে, দেশজুড়ে মোট সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০৯। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সঙ্গে লড়াই করা রাজ্যগুলির তালিকার শীর্ষে কেরালা। এখানে আক্রান্তের সংখা ৪৩০ জন। এরপর মহারাষ্ট্র, ২০৯ জনের মধ্যে সক্রিয় করোনা ধরা পড়েছে। দিল্লি তৃতীয় স্থানে, ১০৪ জন। গুজরাটে ৮৩ জন, কর্ণাটকে ৪৭ জন, উত্তরপ্রদেশে ১৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১২ জন।
কোভিডের কারণে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্র থেকে, কেরালায় দুইজন এবং কর্ণাটকে একজনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে করোনা নিয়ে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (NCDC), জরুরী চিকিৎসা সাহায্য (EMR) বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (ICMR) এবং কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছেয়।
সংক্রমণের নেপথ্যে উঠে আসছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1-এর নাম। জানা গেছে, চিনে প্রথম শনাক্ত হয় করোনার এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। সিঙ্গাপুর, হংকং-সহ এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি, আমেরিকাতেও এর উপস্থিতি ধরা পড়েছে। সংক্রমণ বাড়ছে হু-হু।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, সংক্রমণের হার বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1-এর উপস্থিতি। কীভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, কারা সংক্রমিত হচ্ছে, তার ওপর নজরদারির পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই উপপ্রজাতিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং (VAM) বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থাৎ, এই উপপ্রজাতির সমস্ত বিষয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।