
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়িঃ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের স্ট্রং রুমে বন্দী জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের ভাগ্য। গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে ফিরে তাকালে বোঝা যাবে, বারবার রঙ বদলাচ্ছে এই কেন্দ্রের। তাই জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে সব মহল।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের ভাগ্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের স্ট্রং রুমে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে স্ট্রং রুম। জলপাইগুড়ি ৭ টি বিধানসভার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর সমস্ত প্রার্থীদের ভাগ্য বর্তমানে এই স্টং রুমে বন্দি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর করা নিরাপত্তায় চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জলপাইগুড়ি এই স্ট্রংরুম। শনিবার সাত সকালে স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখ তে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা পৌছে যান। ছিলেন জেলাশাসক সহ নির্বাচনী আধিকারিকরাও।
একটা সময় একটানা জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র ছিল বামেদের দখলে। তবে এই কেন্দ্রকে এই মুহূর্তে কোনও রাজনৈতিক দলের শক্ত ঘাঁটি বলে চিহ্নিত করা যাবে না। গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে ফিরে তাকালে বোঝা যাবে, বারবার রঙ বদলাচ্ছে এই কেন্দ্রের। ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। ২০১৪ সালে হয় পরিবর্তন। তৃণমূল জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র। আর ২০১৯ লোকসভা ভোটে রঙ বদলে হয় গেরুয়া। জয়ী হয় বিজেপি। তাই এই কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে সব মহল।
এবার জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন নির্মল চন্দ্র রায়। বর্তমানে তিনি ধূপগুড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক। আর বামেদের প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। বিজেপি ভরসা রেখেছে বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায়ের ওপর।