
নিজস্ব সংবাদদাতা : সোদপুরের তরুণীর অভিযোগে উত্তাল ছিল হাওড়া। এই মামলার মূল অভিযুক্ত ফুলটুসি ওরফে শ্বেতা খান বৃহস্পতিবার হাওড়া সিজেএম আদালতে জানিয়েছিলেন, ওই তরুণী স্বেচ্ছায় বাঁকড়ায় আরিয়ানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দাবি করেন, তাঁকে কেউ জোর করে আটকে রাখেনি। এমনকি দিঘা, সিমলা, কুলু ও মানালিতে আরিয়ানের পরিবার-সহ একাধিক জায়গায় বেড়াতেও গিয়েছিলেন ওই তরুণী।
আদালত শ্বেতাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ দাবি করেছিল, ১৪ দিনের হেফাজত। আদালত তা আংশিক মঞ্জুর করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার কিছু পরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শ্বেতাকে হাওড়ার কোর্ট লকআপে আনা হয়। সেই সময় বাঁকড়ার একদল তৃণমূল কর্মী ‘ফুলটুসির ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি ধৃত শ্বেতাকে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ কোনও রকমে তাঁকে আড়াল করে লকআপে নিয়ে যায়।
৬ জুন সোদপুরের তরুণী যৌন নির্যতনের অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই পলাতক ছিল শ্বেতা, তার ছেলে আরিয়ান। ৭ জুন থেকে বারবার ঠিকানা বদলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল তারা। অবশেষে বুধবার রাতে হাওড়া পুলিশ তাদের খোঁজ পায় এবং শ্বেতাকে রাতেই জেরা করা হয়। যদিও জেরায় শ্বেতা ও তাঁর ছেলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে।
এদিকে, শ্বেতার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে একাধিক রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে তোলা ছবিও সামনে এসেছে। যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠেছে পর্নচক্র ও যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগও। তদন্তে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসায় শ্বেতাকে আরও জেরা করতে চায় পুলিশ। ফলে আগামী আট দিন হেফাজতে থেকে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন তিনি।